ব্যবসা কি ? ব্যবসা কাকে বলে ? ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি ?

ব্যবসা কি ? :- ব্যবসা আছে এমন একটি মাধ্যম আমরা যখন মুনাফা অর্জনের আশায় বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন এবং বন্টন সহ সকল বৈধ অর্থনৈতিক কাজের সাথে সংযুক্ত হয়। তখন সে কাজ কে বলা হয় ব্যবসা।

অনেক ধরনের মানুষ আছে যারা ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কিছুই জানেনা। অনেকের কাড়িকাড়ি টাকা রয়েছে কিন্তু কিভাবে ব্যবসা শুরু করবে সেই প্রচেষ্টা জানেনা। 

আজ আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের জানিয়ে দেবো ব্যবসা কি? ব্যবসা কাকে বলে, ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি? আপনি যদি এ বিষয়ে পূর্ণ ধারণা নিতে চান তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ব্যবসা কি ? ব্যবসা কাকে বলে ? ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি ?

ব্যবসা আছে এমন একটি বিষয় যা কাজে লাগিয়ে মানুষ প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করে থাকে আপনিও যদি তাদের মত প্রতিমাসে, হাজার হাজার থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ভালো ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে নিতে হবে।

বর্তমান সময়ের সবথেকে জনপ্রিয় বিষয় হচ্ছে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার সম্পদ উৎপাদন বা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত। 

কার্যকলাপ একটি ব্যবসায় একটি বাণিজ্যিক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের সাথে জড়িত। একটি প্রাণকেন্দ্র সস্তা মুনাফা অর্জনের লক্ষ্য, পণ্য ও সেবা ক্রয়, বিক্রয় করে এটি দেশের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা লাভ করা।

তো চলুন এখন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেই ব্যবসা সম্পর্কে মানে ব্যবসা কি?


ব্যবসা কি?
ব্যবসা হলো এমন একটি মাধ্যম যেখানে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দ্রব্য নিয়ে, পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করে মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানো কে ব্যবসা বলা হয়।


বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি অল্প পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা গুলো শুরু করতে পারবেন। আমাদের ওয়েবসাইটে অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে একটি পোষ্ট পাবলিশ করা রয়েছে চাইলে আপনি সেটি পড়ে নিতে পারেন। 

আমাজনে বর্তমান সময়ে চাকরির পেছনে ছোটাছুটি করে লোকেরা অনেক হিমশিম খাচ্ছে। তাই আপনি যদি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে একটি ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে আপনিও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা শুরু করে প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আমরা আশা করি আমাদের কথা অনুযায়ী, আপনি বুঝতে পেরেছেন ব্যবসা আসলে কি।

ব্যবসা কি এর সম্পর্কে যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আমাদের উপরে দেওয়া তথ্যগুলো আপনি আরও একবার পড়ে নেই। 

ব্যবসা কাকে বলে ?

ব্যবসা এমন একটি মাধ্যমে বোঝানো হয় যেখানে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে। কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট মানুষের চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে বিক্রি করার মাধ্যমে যে প্রক্রিয়াটি অবলম্বন করা হয় তাকে ব্যবসা বলা হয়।


যখন কোন ব্যবসা শুরু করবেন সে সময় অবশ্যই আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পূরণ করতে হবে। তখনই আপনি একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বা কোন অভিজ্ঞ ব্যক্তির সাথে পরামর্শ নিয়ে। কোন ব্যবসা শুরু করবেন, তখনই সেই ব্যবসাতে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

ব্যবসার বৈশিষ্ট্য কি ?
আপনাদের জানিয়ে দেয়া হলো ব্যবসা কি এবং ব্যবসায় কাকে বলে। আপনি যদি উপরের অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করা যায় আপনি এ বিষয়ে কোনো ধারণা পেয়েছেন।


এখন আমরা আপনাদের জানিয়ে দেবো, ব্যবসার  বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আপনি যদি ব্যবসার বৈশিষ্ট্য কি এবিষয়ে জানতে চান তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

ব্যবসার বৈশিষ্ট্য গুলো হলোঃ


বিভিন্ন ধরনের পণ্য সেবার বিনিময়ে – আমরা সকল ব্যবসায়ী পণ্য দ্রব্য ও পরিষেবা কেনাবেচার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকি।


পণ্য ও পরিষেবা বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসার লাভ করা হয় যখন কোনো পণ্য ও পরিষেবা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পূরণ করা হয়।

আর যখন পণ্যগুলো গুলো অল্প টাকায় ক্রয় করে মানুষের কাছে কিছু টাকা লাভের আশায় বিক্রি

বিক্রি করা হয় তখনই আপনি লাভজনক হতে পারেন।


আমরা এখানে ব্যবসার বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি নিচের সারণিতে দেখুন। যেমন-

  • পণ্য এবং পরিষেবা বিনিময়।
  • লেন-দেন এর পৌনঃপুনিকতা।
  • মুখ্য উদ্দেশ্য মুনাফা লাভ।
  • ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা।
  • ক্রেতা এবং বিক্রেতা।
  • উৎপাদন এর সাথে সম্পৃক্ততা।
  • পণ্য দ্রব্য এবং সেবাকর্ম।
  • মানুষের চাহিদা পূরণ সক্ষমতা।
  • সামাজিক দায়বদ্ধতা।
ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি ?

আপনারা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলেন, ব্যবসা কি? ব্যবসা কাকে বলে এবং ব্যবসার বৈশিষ্ট্য সমূহ সম্পর্কে।


আপনি যদি উপরিউক্ত আলোচনা তে, পরিষ্কারভাবে ধারণা পেয়ে থাকেন। তাহলে এখন আপনাকে জানিয়ে দিবো ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি ?


ব্যবসা হলো ৫ প্রকার যথা-
  1. মালিকানা ব্যবসা
  2. অংশীদারি ব্যবসা
  3. যৌথ মূলধনী ব্যবসা বা কোম্পানি সংগঠন
  4. সমবায় সমিতি
  5. রাষ্ট্রীয় ব্যবসা
আপনারা যে পাঁচটি ব্যবসার প্রকার দেখতে পারলেন। সেগুলো এখন আপনাকে বিস্তারিতভাবে ধারনা দেয়ার চেষ্টা করব। তো চলুন নিচের অংশটি দেখে নেয়া যাক।

মালিকানা ব্যবসা

মালিকানা ব্যবসায় একজন বা একাধিক মালিকানা প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে থাকে। সে ব্যবসাকে মালিকানা ব্যবসা বলা হয়

একমালিকানা ব্যবসার মাধ্যমে বিশ্বের ব্যবসায়ী ক্রিয়া-কলাপ শুরু হয়েছিল। তাই এই ব্যবসাকে প্রাচীনতম, ব্যবসার সংগঠন। ছাড়াও একমালিকানা সংগঠন ব্যবসা জগতে চেষ্টা হিসেবে বলা যায়।


যখন কোন মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করা হয়। তখন একমালিকানা হিসেবে যাত্রা শুরু করলে সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উপার্জন করা সম্ভব হয়।

অংশীদারি ব্যবসা


আমরা যখন কোন ব্যবসা শুরু করতে চাই এবং যে ব্যবসা গুলো শুরু করার জন্য বেশি পরিমাণে টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। 

সেসময় আপনাদের অবশ্যই অংশীদারি ব্যবসা হিসেবে, শুরু করতে হবে কারণ একসাথে মিলিত হয়ে মুনাফা লাভের আশায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে অংশীদারি ব্যবসা শুরু করতে হয়। আর এই ব্যবসা কে বলা হয় অংশীদারি ব্যবসা।

যৌথ মূলধনী ব্যবসা বা কোম্পানির ব্যবসা

আমরা যখন কোন ব্যবসা শুরু করতে যাব, একাধিক ব্যক্তি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে কোম্পানি আইনের অধীনে যে, ব্যবসা সংগঠন শুরু করতে হয়। তখন তাকে বলা হয় যৌথ মূলধনী ব্যবসা।

আমরা উপরের আলোচনায় জেনে নিয়েছি মালিকানা এবং অংশীদারি ব্যবসার মূলধন এর সীমাবদ্ধতা। কিভাবে আইনগত সীমাবদ্ধতা ও অসীম দায় থেকে মুক্তি পেতে। 

কোম্পানির সংগঠনের যৌথ মূলধনী ব্যবসায় ভূমিকা সৃষ্টি হয়। কোম্পানির সংগঠনের আইনগত ও সংগঠন বা কোম্পানি আইন এর আওতায় সংঘটিত হয়।

সমবায় সমিতি

অল্প সম্পন্ন পেশার লোকজন নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সঙ্গবদ্ধ হয়ে সমাধি কারে, সমবায় আইন এর আওতায় যে সংগঠন গড়ে তোলে। তাকে সমবায় সমিতি বলা হয়।

এর মানে হচ্ছে সম্মিলিত উদ্যোগ প্রতিষ্ঠিত প্রথম সমাবায় সমিতি ও ১৯৪৪ সালে ইংল্যান্ড এর রচডেল স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অল্প কতিপয় ব্যক্তি পারস্পারিক অর্থনেতিক কল্যাণ এর উদ্দেশ্যে সম্মিলিত উদ্যোগ এবং অধিকারের ভিত্তিতে সমবায় সংগঠন সৃষ্টি করা হয়।

বাংলাদেশ সমবায় আইন ২০০১ সমবায় নীতিমালা ২০০৪ এর আওতায় সমবায় সমিতি সংগঠন এবং পরিচালিত হয়।

রাষ্ট্রীয় ব্যবসা

বর্তমানে রাষ্ট্রীয় ব্যবসার সাথে জনগণের কল্যাণের স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে সরকার কর্তৃক গঠিত পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসা বলা হয়।

রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সরকারের নিয়ম-নীতি ও সরকারি উদ্যোগ গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশ এবং বাংলাদেশের আইনসভা বিশেষ আইন বলে অর্থ বেসরকারি ব্যবসা কে জাতীয়করণ করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সমবায়ে গঠিত হতে পারে।

কিছু রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশের, সোনালী ব্যাংক, বিটিআরসি বাংলাদেশ রেলওয়ে এর মত আরো অনেক প্রকার প্রতিষ্ঠান।

আপনি যদি এই আলোচনাটি সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তাহলে ব্যবসা কি ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি এবিষয়ে পূর্ণ ধারণা পেয়েছেন।


শেষ কথাঃ

তো বন্ধুরা আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হলো ব্যবসা কি ? ব্যবসা কাকে বলে ? ব্যবসা কত প্রকার ও কি কি ?

আপনি যদি কোন ব্যবসা শুরু করতে চান। তাহলে আপনাকে এই তিনটি বিষয়ে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে। 

আপনি যখন ব্যবসা কত প্রকার ব্যবসা কি এবিষয়ে পূর্ণ ধারণা নিতে পারেন তাহলে অবশ্যই যেকোনো ব্যবসাতে সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লাগলো অবশ্যই আপনার মতামত জানিয়ে দিবেন। 

এছাড়া আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাবসা আইডিয়া জানতে চান তাহলে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।