প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম : বর্তমান সময়ে প্রত্যয়ন পত্র লেখার অনেক কারণ থাকতে পারে। তো আপনারা যারা প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান?

তারা সঠিক একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

আমাদের এই পোস্টে আপনাকে জানাব, প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে। কিভাবে লেখতে হবে, প্রত্যয়ন পত্রে কি কি থাকে। তার সকল তথ্য আমাদের এই আর্টিকেলেই পেয়ে যাবেন।

প্রত্যয়ন পত্র কি ?

প্রত্যয়ন পত্র এমন একটি সংশাপত্র যা ব্যবহার করে, আমরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি জরুরী কাজে জমা দিতে পারে।

বিশেষ করে, আপনি যদি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এর অধিনে ভোটার হতে চান? সেই ক্ষেত্রে আপনাকে একটি প্রত্যয়ন পত্র সাবমিট করতে হবে।

কারণ আপনি আগে কখনও ভোটার হননি মর্মে এটি প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে। অন্যদিকে আপনি যদি জন্য নিবন্ধন করতে চান? সেক্ষেত্রেও বিশেষ কোন ডকুমেন্ট হিসেবে, প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

এছাড়া, আপনি যদি কোন ব্যাংক থেকে লোন নিতে চান? সেক্ষেত্রেও কিন্তু আপনাকে প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হতে পারে।

মোট কথা প্রত্যয়ন পত্র ছাড়া বিশেষ বিশেষ কাজ গুলো করা সম্ভব হয় না। যে কোন কাজে প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করতে হয়।

প্রত্যয়ন পত্র কোন কোন কাজে লাগে ?

আপনি যদি কোন ব্যাংক লোন নিতে গেলে প্রত্যয়ন পত্র লাগবে? কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে, প্রত্যয়ন পত্র লাগবে, জাতীয় পরিচয় পত্র করতে গেলে প্রত্যয়ন পত্র লাগবে। 

জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে প্রত্যয়ন পত্র লাগবে।

আবার আপনি যদি কোন চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন করেন। সেখানেও কিন্তু আপনাকে একটি চেয়াম্যান কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

এছাড়া, বাংলাদেশের যে কোন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সুবিধা নিতে চাইলে। আপনাকে অবশ্যই তাদের চাহিদা মতো একটি প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম

আপনি যদি কোন প্রয়োজনীয় কাজের জন্য প্রত্যয়ন পত্র লিখতে চান? তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। 

আমরা এখানে যে, প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম যা জানাব। সেটি অনুসরণ করে, আপনি যে কোন কাজের জন্য প্রত্যয়ন পত্র লিখতৈ পারবেন।

তার জন্য আপনাকে আমাদের দেওয়া প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম (নমুনা) শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করুন।

আবার আমরা আপনাকে একটি ফরম ডাউনলোড করার জন্য দেব। যা ডাউনলোড করেও শুধু মাত্র আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করে, যে কোন কাজে প্রত্যয়ন পত্র ব্যবহার করতে পারবেন।

আমরা আপনাকে যে প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম দেখাব। সেটি অনুসরণ করে, যে কোন প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারবেন।

বিশেষ করে, আপনার যদি চাকরির জন্য প্রত্যয়ন পত্র দরাকার হয়। সেহেতু ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।

কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে প্রত্যয়ন পত্র চাইলে, তারা বলেন যে, বাহিরে থেকে লিখে নিয়ে আসতে। কিন্তু সেটি লিখতে আপনার কিছু টাকা খরচ হবে।

এক্ষেত্রে আপনি যদি নিজে নিতে প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারেন। তাহলে কিন্তু কোন টাকা খরচ হবে না। 

তাই নিচে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম (নমুনা) জেনে নিন।

তো চলুন আর সময় নষ্ট না করে, প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আমি আপনাকে এখানে দেখাব, চাকরির জন্য প্রত্যয়ন পত্র কিভাবে লিখতে হয়। নিচের নমুনা টি অনুসরণ করুন।


“প্রত্যয়ন পত্র”

এই মর্মে প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, নামঃ (এখানে আপনার নাম লিখুন), পিতার নামঃ (এখানে নাম লিখুন), মাতার নামঃ (এখানে মাতার নাম লিখুন), গ্রামঃ (আপনি যে গ্রামে বসবাস করেন সেটি লিখুন), ডাকঘরঃ (ডাকঘরের ঠিকানা লিখুন), পোস্ট কোডঃ (পোস্ট নম্বর লিখুন), ইউনিয়নঃ (আপনি যে ইউনিয়ন পরিষদ এর বাসিন্দা তার নাম লিখুন), উপজেলাঃ (উপজেলার নাম লিখুন), জেলাঃ (এখানে জেলোর নাম লিখুন)। তিনি আমার ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা। তিনি একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। আমার জানামতে তিনি কোন রাষ্ট্র বিরোধি কাজে জরিত নয়।

অতএব, আমি তাহার সার্বিক জীবনের উন্নতি কামনা করি।

চেয়ারম্যান

অমুক নং ইউনিয়ন পরিষদ

আপনি যদি উক্ত নমুনা অনযায়ী প্রত্যয়ন পত্র লিখতে পারেন। তাহলে যে কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি অন্য কোন কাজের জন্য প্রত্যয়ন পত্র না লিখতে পারেন। চিন্তা নেই। 

আমাদের এই সাইটে মানুষের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে ধাপে ধাপে আপলোড করব।

শেষ কথাঃ

আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেল শেষ পর্যন্ত মনযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আশা করা যায় যে, প্রত্যয়ন পত্র কিভাবে লিখতে হয়। প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তো প্রত্যয়ন পত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে যদি কোন প্রশ্ন থাকে। তবে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। 

ধন্যবাদ।