গল্প/কবিতা পড়ুন আর প্রাণ ভরে হাসুন। আজকের গল্প বোকা জামাই।

গল্পের নামঃ কিছু-মিছু

এক ছিল এক বোকা জামাই, সে বিয়ে করার পর জানে না কার সাথে কি ব্যবহার করতে হয়। 

একদিন বোকা জামাই শশুর বাড়িতে যাবে তাই তার মা তাকে অনেক উপদেশ দিলো যেন তার ছেলে যে বোকা এটা যেন কেও না বোঝেতে পারে। 

তার মা তাকে বলল তর শশুর বাড়িতে যেয়ে শশুর, শাশুরীর সাথে কথা বলিস, চুপ করে বসে থাকিস না। যাওয়ার সময় বাজার থেকে কিছু-মিছু কিনে নিয়ে যাস। 

শশুর বাড়ির উদ্দেশে বোকা জামাই রওনা দিলো এবং বাজারে গিয়ে দোকানে বলল কিছু-মিছু দেন। 

সব দোকান-দাররা বলল কিছু-মিছু আবার কি? কিছু-মিছু নেই। অবশেষে এক দোকানদার বোঝল এই লোকটা হইতো বোকা তাই সে কচুর দোকান দেখিয়ে দিলো।

কচু ওলা তাকে দশ টাকা দিয়ে দুইটি কচু দিলোপ এবং একটা পাঙ্গাস মাছ ও কিনে নিলো। পরে আস্তে আস্তে হেটে হেটে শশুর বাড়ি চলে গেল।

যেয়ে দেখলো তার শাশুরী রান্না করছে এবং তার শশুর দরজায় বসে আছে। বোকা জামাই তার শশুরকে জিজ্ঞেস করল কেমন আছেন আব্বা? তার শশুর বলল ভালো আছি। 

এই কথা বলে চুপ রইলো, আর কিছু বলল না তার শশুর। তখন বোকা জামাই তার শশুরের পাশে বসে পরলো গল্প করার জন্য। 

কারণ তার মা বলেছিল চোপ চাপ থাকিস না। তাই সে তার শশুর কে বলল আব্বা….আব্বা দেখেন তো এই যে, পুকুরটা খুরেছেন, এই পুকুরটার মাটি কি করছেন? 

এই প্রশ্ন শুনে তার শশুর রেগে বলল তর বাপ আর আমি মিলে মাটি ‍গুলা খাইছি। আর কিছুখন চুপ থাকার পর বোকা জামাই আবার বলল আব্বা….আব্বা আপনি কারে বিয়ে করছেন? 

তখন তো জামাইয়ের প্রশ্ন শুনে রেগে মেগে আগুন এবং বলল তাহলে তর শাশুরী কোথা থেকে পেলি। 

বোকা জামাই বলল তাহলে কি নিজেরা নিজেরাই। তখন শশুর দরজা থেকে উঠে দূরে সরে গেল। এই দিকে শাশুরীর রান্না করে ফেলেছে।

শাশুরী বোকা জামাইকে পাট শাক দিয়ে খেতে দিলো রাতে। আর কোন কিছুই রান্না করেছিল না। 

বোকা জামাই পাট শাক বেছে বেছে খেতে লাগলো এবং ভাবলো পাট শাক খেয়ে ফেললে তাকে পাঙ্গাস মাছ খেতে দিবে। 

এভাবে পাট শাক খেতে খেতে করাইয়ের সব পাট শাক খেয়ে ফেলল, তখন শাশুরী বলল জামাই আপনার কাছে পাট শাক খুব ভালো লাগে  তাই না? 

কালকে সকালে আবার রান্না করে দিবো। বোকা জামাই লজ্জা পেলো এবং ভাত আর খেলো না। 

তার পেটে খোধা রয়েই গেল। তাই সে রাতে ঘোমানোর সময় জোড়ে জোড়ে নাকে শব্দ করে বলতে থকলো পাঙ্গাস……পাঙ্গাস। 

তখন তার শশুর, শাশুরী বলে দেখেন এখন খেলাটা। তার পর শাশুরী তারা-তারি ঘোমের মতো শব্দ করে বলে কাল খাস কাল খাস। 

তখন বোকা জামাই লজ্জা পেয়ে আর কোন শব্দ না করে ঘোমিয়ে যায়। সকালে শাশুরী মুরগীর মাংস রান্না করলো এবং জামাইকে মুরগীর ঠ্যাঙ্গ দিয়ে খেতে দিলো। 

তখন বোকা জামাই মজা পেয়ে বলল থ্যাংকো, থ্যাংকো। তখন শাশুরী ভাবলো মুরগীর ঠ্যাঙ্গ চাচ্ছে। 

তখন শাশুরী মুরগীর আরো একটি ঠ্যাঙ্গ দিলো। জামাই আবার বলল থ্যাংকো, থ্যাংকো। তখন শশুর রেগে উঠল এবং বলল মুরগীর কই ঠ্যাঙ্গ?

এই বলে তাকে অনেক বকা দিলো। তখন বোকা জামাই রেগে মেগে আগুন হয়ে বলল আমি চলে যাচ্ছি।

আমি আপনার মেয়েকে সাথে নিয়ে যাবো না। তখন সব শালিরা এসে বলল আপনার সাথে অনেক মসকারা করলাম সে মসকারার তো কোন উত্তর দিলেন না। 

তখন বোকা জামাই বলল আমি তোদের বাপ হইছিলাম, আমার সাথে যে মসকারা করছিলি। 

তখন সব শালিরা হেসে উঠলো এবং বোঝতে পারলো সত্যি তাদের দোলাভাই বোকা। 

মন্তব্য উপরিউক্ত গল্প থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে, বোকা মানুষকে যতই সাবধান করা হউক না কেন তার চালচলন দেখে বোঝা যাই যে, সে সত্যিই বোকা। 

আমাদের পেজে নতুন নতুন গল্প/কবিতা পেতে পেজের সাথেই থাকুন। আর আমাদের পেজে পাবেন স্কুল/কলেজের সকল তথ্য ও চাকুরীর খবর।

About TAREK JAMAN

Check Also

এমএস ওয়ার্ড এর কাজ

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সুপ্রিয় ভাই ও বোনেরা, আশা করি অনেক ভালো আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *