
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন, আজ আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম, ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায় ব্লগিং।
ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরী করে আপনার ভবিষ্যত জীবন উজ্জল করতে পারবেন।
এই ব্লগ ওয়েবসাইটি হলো একদম ফ্রি ওয়েবসাইট। ব্লগিং একাউন্ট খোলতে কোন টাকা পয়সার প্রয়োজন হয় না।
কিছু বছর আগেও ব্লগিংকে শুধুমাত্র শখ হিসেবে নেয়া হত। বর্তমানে ব্লগিংকে অনলাইন থেকে টাকা আয়ের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এরূপ পরিপ্রেক্ষিতে অনেক শিক্ষিত যুবক/যুবতীরা চাকরির বিপরীতে ব্লগিংকে পূর্ণ বা খণ্ডকালীন পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন দিন-দিন। আপনিও টাকা আয় করতে পারবেন ওয়েবসাইট ব্লগিং করে।
ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। এরপর নিজের ব্লগকে নিয়মিত নবায়ন করতে হবে।
ব্লগিং (টাকা আয়ের ব্লগ) এ জন্য প্রয়োজন কম্পিউটার টাইপিং দক্ষতা এবং রিচার্জ পরিকল্পনা।
বেশি বেশি রিচার্জ এর মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন একজন পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট ব্লগার।
চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা হয়…
কার্যকরী ওয়েবসাইট ব্লগ থেকে ব্যবসার পরিকল্পনা গ্রহণঃ
অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটিং, সরকারী চারকীর খবর, বেসরকারী চাকরির খবর, এনজিও চাকরির খবর, খেলা-ধুলা, স্বাস্থ্য, কৃষি বিষয়ক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নোটিশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট, রুটিন, ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, ফরম ফিলাপ ইত্যাদি কিছু নিয়ে পরিকল্পনা করতে পারেন যে, আপনি কি বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট শুরু করবেন।
বর্তমানে দেশে চাকরি খোঁজা যদি আপনার অপছন্দের বিষয় হয়ে থাকে তবে ব্লগ লেখক হিসাবে আপনি কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে ব্লগিং হতে পারে আপনার কাজের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি চাকরির মাধ্যম।
এখানে কারো হুকুম পালন করতে হবে না, স্বাধীন ভাবে আপনার ব্লগে কাজ করতে পারবেন।
আপনি যদি ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে এটিকে চাকরি বা ব্যবসা হিসাবে বিবেচনা করুণ।
ব্লগিংকে যদি পেশা হিসাবে গ্রহণ করতে চান তাহলে নিজের আর্থিক সক্ষমতা চাকরি বা ব্যবসা পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে কিছু টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করতে হবে।
ব্লগার ওয়েবসাইটের পেছনে আপনার বিনিয়োগ প্রথম বারের মতো খরচ হতে পারে মাত্র ১০ থেকে ১২ ডলার (ডোমেইনের মূল্য) থেকে, যা বাংলাদেশের মূল ৮৫০/- টাকা থেকে ১০২০/- টাকা।
ডোমেইনের ফলে আপনার ওয়েবসাইট হয়ে উঠবে সবার পছন্দের এবং সবার পরিচিত।
মানুষের যত আপনার ওয়েবসাইট চিনবে ততো আপনার টাকা আয় বাড়বে।
প্রথমে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট এর জন্য একটি খরচ/বাজেট তৈরি করুন। এর মধ্যে অবশ্যই ওয়েবসােইটের লোগো ডিজাইন, ডোমেইন, ব্লগে হোস্টিং ফ্রি, ব্লগ হোস্টিং কিনতেও পারবেন, ব্লগে ফ্রি থিম ব্যবহার করা যায় সেটি হলো (বাইনা থিম) ব্লগ প্রিমিয়াম থিমের মূল্য, মাসিক ইন্টারনেট খরচের সামর্থ থাকতে হবে।
টাকা আয়ের জন্য যেভাবে ওয়েবসাইট ব্লগ তৈরি করবেনঃ
ওয়েবসাইট ব্লগ তৈরি করতে অনেক বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়না।
আপনার যদি মাইক্রোসফট অফিস সম্পর্কে কোন জ্ঞান থাকে বা একদম নাও থাকে তবুও আপনি আয়ের জন্য ওয়েবসাইট ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ ব্যাক্তি না হলেও কীভাবে আপনি টাকা আয়ের জন্য ব্লগ তৈরি করবেন এই ব্লগে আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করবো বিস্তারিত।
ব্লগে লেখার দক্ষতা বৃদ্ধিঃ
আপনার লেখার দক্ষতা উন্নয়নের সর্বোত্তম উপায় হলো রিচার্জ করা, পড়া এবং লেখা।
আপনি যত বেশি ওয়েবসাইট গুলো রিচার্জ করবেন ততো বেশি আপনার ভাষা জ্ঞান বাড়বে এবং আরও উচ্চ মানের আটিকেল লিখতে পারবেন।
এছাড়াও লোখার সময় আপনি মনোযোগি হবেন আপনার পোষ্ট লেখার উপরে। এই সব কিছুর ফলে আপনি ও হতে পারবেন একজন দক্ষ লেখক।
এছাড়া- ভিজির্টরদের জন্য তথ্য বহুল ব্লগ পোষ্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
আর এ জন্য অনলাইন বা অফলাইনে রিচার্জ চালিয়ে যেতে হবে।
আপনাকে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে প্রথম যে ওয়েবসাইট গুলো সার্চ করলে আসে সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ব্লগ পোষ্ট গুলো পড়তে হবে।
অনলাইন বা অফলাইনে MB খরচ করে বা বিনামূল্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্লগ কোর্স গুলো গ্রহণ করতে পারেন।
যেখানে প্রশিক্ষকরা সৃজনশীল লেখার কার্যকর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে ধারনা দিয়ে থাকেন।
আপনি যদি প্রশিক্ষকের সৃজনশীল কার্যকর উপায় গুলো না বুঝেন থাকলে সফল হওয়া সম্ভব হবে না।
তবে সমস্যা নেই আপনি যদি চান আপনার ওয়েবসাইট চালাতে পারবেন।
নিজের ওয়েবসাইট ব্লগ সচল রাখতে চান তাহলে আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকতে হবে, তাহলে আপনি দক্ষ লেখক নিয়োগ দিতে পারেবেন টাকার মাধ্যমে, তারা আপনার ওয়েবসাইট ব্লগে লিখবেন।
ব্লগ তৈরিঃ
ব্লগার ডট কম Blogger.com
ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম http://wordprass.com
ট্রাফিক/ভিজির্টরের সম্ভাব্য উৎস বের করাঃ
ওয়েবসাইট ট্রাফিক/ভিজির্টর হলো আপনার ব্লগের পাঠক বা দর্শক।
আপনার ব্লগ টাকা আয় করবে যখন কেউ ওয়েবসাইট প্রবেশ করে কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে তখন আপনার একাউন্টে টাকা প্রবেশ করবে।
পাঠক বা দর্শকরাই হলো সেই সোনার হরিণ যাদেরকে আপনি আপনার পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আর এই ওয়েবসাইট ট্রাফিক/ভিজির্টর আপনার ব্লগের প্রাণ টাকা আয়ের উৎস। ট্রাফিক বা ভিজির্টর না থাকলে আপনার ওয়েবসাইট মুল্যহীন।
ট্রাফিক না থাকলে আপনার ওয়েবসাইটে কোন টাকা আয় হবে না। তাই ওয়েবসাইটে মানসম্পন্ন আটিকেল লিখতে হবে।
![]() |
গুগল ওয়েব মাষ্টার টুলস্ এর মাধ্যমে ব্লগের র্যাঙ্কিংঃ
যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কীওয়ার্ড দিয়ে কিছু অনুসন্ধান করে তখন অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে প্রাসঙ্গিক ফলাফল উপস্থাপন করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজেস (ওয়েব মাষ্টার টুলস্)।
যদি আপনার ব্লগ পোষ্টটি কোনো নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় অবস্থান পায় তাহলে অরগ্যানিক ভাবেই এটি অনেক দর্শক/পাঠদের টানতে পারে।
যেহেতু গুগল এখন বিশ্বের এক নম্বর সার্চ ইঞ্জিন, তাই ব্লগ পোষ্ট গুলোকে গুগল ওয়েব মাষ্টার টুলস্ এ দৃশ্যমান করার জন্য আপনার কাজ করতে হবে।
গুগল ওয়েব মাষ্টার টুলস্ র্যাঙ্ক পেতে আপনার ব্লগ এবং ব্লগ পোষ্ট গুলোতে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) কৌশল গুলো প্রয়োগ করতে হবে।
এজন্য আপনি কোনো এসইও বিষয়ে ভিডিও দেখে নিজেই এর কাজ শিখে নিতে পারবেন।
ব্লগারওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্স একাউন্টে টাকা আয় করবেনঃ
ওয়েবসাইটের মান বজায় রেখে পর্যাপ্ত ভিজির্টর নিয়ে প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি ব্লগিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন এবং গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
অ্যাডসেন্স এপরোভাল হলে সেখানে বিজ্ঞাপ্তন (এড) যুক্ত করে দিবেন।
পরবর্তীতে অ্যাডসেন্স আপনাকে আপনার নিজ ঠিকানার পোষ্ট অফিস এপরোভাল চিঠি প্রদান করবে।
চিঠিতে থাকলে অ্যাডসেন্স একাউন্টের একটি কোড, সেটি একাউন্টে প্রবেশ করাতে হবে।
তার পর যে কাজটি করতে হবে সেটি হলো অ্যাডসেন্স একাউন্টে আপনার রকেট, মাষ্টার কার্ড, ভিসা কার্ড, ডেবিট কার্ড নম্বর যুক্ত করে দিতে হবে, সেখানে আপনার ডলার জমা হবে।
পরিশেষেঃ
ব্লগিং হলো ধ্যর্যের কাজ এ বিষয়ে যদি আপনি সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন তবে আপনি সফল হতে পারবেন ১০০%।
আপনি যদি আপনার ব্লগিংকে চাকরি বা ব্যবসার পেশায় পরিণত করতে চান তবে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
এটি অনেক বিষয়ের কাজ আপনি যে বিষয়ে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী সেটি নিয়ে কাজ করলে আপনার ভবিষ্যত গড়তে পারবেন ।
ব্লগের মালিক হিসাবে আপনাকে একই সাথে পাঠক বা দর্শকদের পোষ্ট কমেন্টের উত্তর প্রদান করতে হবে।
ব্লগ থেকে স্থায়ী টাকা আয়ের জন্য আপনাকে উপরে উল্লেখিত সকল নিয়ম যথাযথ ভাবে পালন করতে হবে।
আপনার ব্লগকে দীর্ঘমেয়াদী টাকা আয়ের উৎস হিসাবে গড়ে তুলতে হবে।
আপনার মূল্যবান পাঠক/দর্শকদের জন্য ব্লগ-এ ভালো মানের আটিক্যাল লিখে ওয়েবসাইটটি প্রতিষ্ঠিত করুন। ধন্যবাদ সময় নিয়ে এই পোষ্টি পড়ার জন্য।
ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩
ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩ ওয়েবসাইট থেকে আয় ২০২৩
এই ওয়েবসাইটে পাবেন জাতয়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ এবং অনলাইন আয়ের সকল সমাধান সাথেই থাকুনঃ www.eduandjobs.com