ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন

হ্যালো! দর্শক কেমন আছেন সবাই। আশা
করি ভালো আছেন।  

আজ আমি এই নিবন্ধে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো ইউটিউব Youtube দিয়ে
কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন।

আমরা জানি বর্তমানে সব চেয়ে বড় ভিডিও প্লাটর্ফম হচ্ছে ইউটিউব। 

ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখার জন্য লোকেরা প্রচুর সময় দিয়ে থাকে। 

আপনি যদি লোকদের চাহিদা অনুযায়ী ইউটিউব ভিডিও আপলোড করতে পারেন তবে ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারবেন। 

আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে এই
পোষ্টটি কিছু সময় ব্যয় করে পড়ুন। 

সহজেই ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। তো চলুন
বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক।

আমাদের এই ওয়েবসাইটে আসার জন্য ধন্যবাদ। এখানে শিখতে পারবেন কি কি নিয়মে ইউটিব চ্যানেল থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে চাইলে নিম্নের পুরো আর্টিকেল ভালো ভাবে পড়ুন। 

আরো দেখুনঃ
বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়  

আপনারা এতদিন ইউটিউব ব্যবহার করেছেন
বিনোদন পাওয়ার জন্য আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন। 

এ বিষয়টা হয়তো
শুনেছেন কিন্তু কি ভাবে কাজ করতে হয় তা সঠিক ভাবে জানেন না। 

মোবাইল দিয়ে কি ইউটিউব আয় করা
যায়? আমি বলবো হ্যাঁ অবশ্যই আয় করা যায়। 

আপনি ইউটিউবে কি বিষয় নিয়ে কাজ করবেন সে
বিষয়টি আগে নির্ধারণ করতে হবে। 

যেমন মনে করুন আপনি শিক্ষা বিষয়ক বা দৈনিক খবর নিয়ে
ইউটিউব এ কাজ শুরু করতে পারেন।

শিক্ষা বিষয়ক অনেক খবর থাকে যেমন জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয় এর নোটিশ, পরীক্ষার রেজাল্ট, পরীক্ষার রুটিন, পরীক্ষার ফরম ফিলাপ,
ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, দৈনিক দেশের খবরা খবর। 

উক্ত বিষয়ে আপনি ইউটিউব এ ভিডিও তৈরী করে
আপলোড করতে পারবেন।

আরো শিখুনঃ মোবাইল
দিয়ে অনলাইন আয় ২০২১ 

আপনার মনে রাখতে হবে ভিডিও ভালো মানের
হতে হবে তাহলে মানুষ আপনার ভিডিও পছন্দ করবে। 

বর্তমান সময়ে অনেক ভিডিও এডিটিং
সফটওয়্যার পাবেন এ গুলো দিয়ে ভিডিও এডিটিং করে আপলোড করতে পারবেন।

তবে অন্যদের ভিডিও কপি করে আপলোড করা
যাবে না। তাহলে কপি রাইট ধরে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করে দিবে। 

কপিরাইট
স্ট্রাইক এরকম তিন বার আসলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বাতিল হয়ে যাবে। 

তাই উক্ত ভিডিও
নিজের জ্ঞান দিয়ে প্রস্তুত করে ইউটিউবে আপলোড করবেন।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়

প্রতিদিন সাড়া বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ
ইউটিউব ভিডিও দেখে থাকে। 

পরিসংখ্যান এ জানা গেছে একজন ব্যক্তি দিনে গড়ে ১ ঘন্টা
করে ইউটিউবে সময় দিয়ে থাকে।

সুতরাং, ইউটিউব এর মাধ্যমে এক বিপুল সংখ্যক মানুষের
কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ তৈরী হয়েছে সাড়া বিশ্বে।

সে জন্যই বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছে
ইউটিউব আজ এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। 

এর ফলে ঘরে বসে
অনলাইনে ইউটিউব থেকে আয়ের সুযোগ তৈরী হচ্ছে অনেক মানুষের।

ইউটিউব ব্যবহার করে ঘরে থাকা নারীদের
জন্য আয়ের একটি সহজ মাধ্যম। 

গৃহিনীরা ঘরে বসে বিভিন্ন রান্না বান্নার রেসিপি ভিডিও
আপলোড করে মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম কি?

ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম এর প্রধান
উৎস হল বিজ্ঞাপন। 

এর অর্থ আপনি ইউটিউব চ্যানেলটিকে বিজ্ঞাপন দাতাদের ব্যবহার করতে
দেবেন এবং পরিবর্তে আপনি তাদের থেকে টাকা বা অর্থ পাবেন।

সুতরাং, ইউটিউব চ্যানেলে
ভিডিও ‍শুরুতে বা মাঝে বিজ্ঞাপন দাতারা তাদের বিজ্ঞাপন দেখাবে।

যেমন আমরা কোন কিছু
ইউটিউব চ্যানেল দেখতে গেলে ২-৩ মিনিট যাওয়ার পরে যে বিজ্ঞাপন হয় তখনি আপনি ইউটিউব
থেকে উপার্জন করবেন।

যে ভিডিও তে বিজ্ঞাপন আছে সেই ভিডিও থেকে ইউটিউব আয় করতে
পারবেন।

ইউটিউব থেকে আয় করার সহজ উপায়

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে
প্রথমেই নিয়ম মোতাবেক একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে হবে। 

আপনি আপনার ই-মেইল
এ্যাকাউন্ট দিয়ে বিনামূল্যে নিজের মালিকানায় ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করতে পারবেন।

তবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করলে
এবং মানুষ সেই ইউটিউব ভিডিও দেখলেই সেখান থেকে আপনার আয় হবে না। 

আপনাকে ভিডিও
আপলোড করে টাকা পেতে হলে কিছু কাজ করতে হবে।

যেমন : ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য ভালো
মানের ভিডিও আপনাকে আপলোড করতে হবে।

৩০-৫০ টি ভিডিও আপলোড করার পর আপনি গুগল
এ্যাডসেন্স এ আবেদন করতে হবে। 

আবেন করার উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

এ্যাডসেন্স
থেকে অনুমোদন প্রাপ্ত হলে আপনার টাকা উপার্জন শুরু হবে।

টাকা আয়ের
জন্য এ্যাডসেন্স এ আবেদন করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে?

প্রথমত আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ভালো
মানের ৩০-৫০ টি ভিডিও আপলোড করতে হবে।

আপনার চ্যানেলে অন্ততপক্ষে ১০০০ (এক হাজার)
সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে। 

১ম দিন থেকে শেষে ১২ মাসের মধ্যে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এ
৪০০০ (চার হাজার) ঘন্টা পাবলিক ওয়াচ আওয়ার টাইম থাকতে হবে।

আপনার চ্যানেলটিতে সেটিং থেকে
নোটিফিকেশন চালু করে রাখতে হবে।

সেক্ষেত্রে উক্ত শর্ত গুলো পূরণ হরে ইউটিউব থেকে
আপনাকে নোটিশফিকেশন পাঠাবে। 

এই শর্ত গুলো একবার পূরণ হলেই ইউটিউবে পার্টনারশিপ
প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন গুগল এ্যাডসেন্স এর জন্য।

ইউটিউবে কত
ভিজিটর ভিডিও দেখলে কত টাকা আয় হয়?

আপনার ভিডিও এর জন্য ইউটিউব থেকে আপনি
কতটাকা আয় করতে পারবেন তা বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করবে আপনার ভিডিও এর উপর।

যেমন ভিডিও বিষয়, দর্শকের ধরন, দর্শকের ভিডিও চাহিদার উপর।

সাধারণত প্রযুক্ত ভিত্তিক চ্যানেল
গুলোর সিপিএম এর রেট সব থেকে বেশি থাকে। 

অন্যদেশের ট্রাফিক অর্থাৎ আপনার দর্শকরা
যদি মুলত ভারতীয় হন সেক্ষেত্রে প্রযুক্তি ভিত্তিক চ্যানেল এ আপনরা সিপিএম ৭ ডলার
অবধি হতে পারে। 

অন্যদিকে শিক্ষা ভিত্তিক চ্যানেল গুলোর সিপিএম সাধারণত কমের দিকে
থাকে। 

কারণ তাদের দর্শকদের বয়স মুলত ১৮ বছরের নিচে হয়ে থাকে।

একটি শিক্ষা ভিত্তিক ব্লগ জানিয়েছে
তাদরে সিপিএম রেট ০.৭০ ডলার থেকে ৪ ডলারের মধ্যে ওঠা নামা করে থাকে। 

বিনোদন
ভিত্তিক ভিডিও ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ২-৪ ডলার পর্যন্ত।

অন্যদিকে কষ্টপার ক্লিক হলে দর্শক
নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনের লিংক এ ক্লিক করলে তার পরিবর্তে আয় করতে পারবেন। 

এটির
অনেকাংশ নির্ভর করে বিজ্ঞাপনের উপর ভিত্তি করে। 

বিশেজ্ঞদের মতে একবার আপনার
চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব সংখ্যা ১৫ লক্ষ বা বেশি তবে আপনি ইউটিউব খেকে অকে টাকা আয়
করতে পারবেন।

ইউটিউব
কিভাবে টাকা দেয়?

ইউটিউব গুগল এ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে
পেমেন্ট প্রদান করে। 

প্রতি মাসের ২১-২৬ তারিখের মধ্যে ইউটিউব আপনার এ্যাডসেন্স
একাউন্টে টাকা পাঠাবে গুগল। 

আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্টে ১০ ডলার জমা হলে গুগল আপনার
ডাক ঠিকানায় একটি চিঠি কোড পাঠাবে। 

আপনাকে আপনার একাউন্টে সেই কোডটি ভেরিফাই করাতে
হবে। 

এর পর আপনার একাউন্টে ১০০ ডলার জমা হলে গুগল আপনার ব্যাংক, ফিসা কার্ড,
ক্রেডিট কার্ড বা রকেট এর মাধ্যমে আপনার আয় করা টাকা পাঠিয়ে দিবে।

ইউটিউব
থেকে আয়ের টিপস্

এক কথায় পরিষ্কার ইউটিউব ব্যবসায়
সাফল্যের মুলমন্ত্র হলো দর্শক বৃদ্ধি। 

এছাড়া ইউটিউব থেকে আয় করার জন্য নিয়মিত ১০০০
জন ভিজিটর প্রয়োজন। দর্শকের উপর ভিত্তি করে আয় হবে। 

একজন সফল ইউটিউবার হতে হলে
কয়েকটি জিনিস আপনার মাথায় থাকতে যা নিচে উপস্থাপন করা হলো।

ইউটিউব
থেকে আয়ের সহজ উপায়

ইউটিউব থেকে আয় এর প্রাথমিক শর্ত হলা
সর্বপ্রথম সঠিক বিষয়টি বেছে নেওয়া। নিজের আগ্রহ পারদর্শিতার উপর নির্ভর করবে। 

তেমনই নির্ভর করবে ভিজিটরদের। বর্তমানে ইউটিউবে প্রযুক্তি, অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন
মাধ্যম, শিক্ষা বিষয়ক, খেলা ধুলার খবর, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৌতুক, রান্না রেসিপি,
ফানি ভিডিও ইত্যাদি বিশ্ব জুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করে আসছে।

নিশ্চিত করুন আপনি কোন
বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান। 

যে বিষয় নিয়ে মানুষ ইউটিউবে বেশি সময় ব্যয় করে সে বিষয়ে
আপনাকে ভিডিও আপলোড করতে হবে। 

এতে করে আপনার ইউটিউবে ভিজিটর বাড়বে আপনার উপার্জন ও
বেশি হবে।

ইউটিউবে
কাজ করার জন্য সময় ব্যয়

একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রাথমিক ১০০০
হাজার সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা পৌছাঁতে প্রচুর পরিমানের পরিশ্রম করতে হয় ইউটিউবারদের
অনেক সময় ব্যয় করতে হয়। 

কোন লাভ ছাড়াই প্রথম প্রথম ভিডিও বানিয়ে চালিয়ে যেতে হবে।
আপনি যত পরিশ্রম করে ভিডিও আপলোড করবেন সেটি ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে আপনার উপার্জন
বৃদ্ধি পাবে।

ভালো মানের
ভিডিও বানাতে হবে
?

ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে ভালো মানের
ভিডিও বানাতে হবে। 

আপনার ভিডিও যতই তথ্যবহুল হউক না কেন, আপনার উপস্থাপনা ভালো না
হলে দর্শক ভিডিওটি পুরো বা ভালো ভাবে দেখবে না। 

তাই আপনাকে ভালো উপস্থাপন ও ভালো
মানের ভিডিও তৈরী করতে হবে।

আরো দেখুনঃ
অনলাইন আয় [ঘরে বসে ইনকাম]

বর্তমানে বিভিন্ন স্মার্ট ফোনেই
অত্যন্ত ভালো মানের ক্যামেরা দিয়ে থাকেন স্মার্টফোন কোম্পানিরা। 

সেই ক্যামেরা
ব্যবহার করেও আপনি ভালো মানের ভিডিও বানাতে পারবেন। ভিডিও সম্পাদনা ও শব্দ
বিন্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। 

অনেক সময়ে খুব ভালো মানের ভিডিও খারাপ এডিটিং
এর জন্য নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভিডিও উপস্থাপনার
ফরম্যাট সম্পর্কে ও যত্নবান হতে হবে।

যে ভাষায়
ভিডিও করবেন তা নিশ্চিত করুন

আপনি যদি বাংলা ও ইংরেজি দুটি ভাষাতে
ভালো অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে কোন ভাষায় আপনি ভিডিওটি করবেন
বা বানাবেন। 

ইংরেজি ভাষায় ভিডিও করলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকের কাছে পৌঁছানোর
সুযোগ রয়েছে তখন আপনার চ্যানেল এর ভিজিটর বেশি হবে।

গুগল এ্যাসেন্স
[Google Adsense]

Google Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে
বড় বিজ্ঞাপন কোম্পানি। এটি গুগল কর্তৃপক্ষ নিচে পরিচালনা করে থাকেন। 

এটার মাধ্যমে
আপনার ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। 

আপনার চ্যানেলে যদি
প্রতি মাসে প্রচুর পরিমাণের ভিজিটর প্রবেশ করে তাহলে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

ভিজিটর না আসলে আপনার গুগল এ্যাসেন্স থাকলেও লাভ হবে না কিছুই।

পরিশেষেঃ 

আপনি একবার সফল ইউটিউবার হতে পারলে আপনাকে আর পিছন দিকে
তাকাতে হবে না ধিরে ধিরে আপনিও উপরের লেভেলে উঠে যাবেন।

ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন  ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন  ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন  ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন  ইউটিউব থেকে আয় [A2Z] গাইডলাইন 

তখন আপনার ভালো লাভ করা
সম্ভব হবে। তবে তার জন্য পরিশ্রম করতে হবে অনেকটাই বেশি।